আমতলী প্রতিনিধি
বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আমতলী উপজেলা বিএনপি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বাধা দিলে পুলিশের উপর হামলায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
সোমবার বিকেল ৪ টার সময় একেস্কুল চৌরাস্তা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩ টার সময় আমতলী উপজেলা বিএনপি ও এর অংগসংগঠন একেস্কুল চৌরাস্তা মোর এলাকায় অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আমতলী উপজেলা বিএনপি নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। সভা শেষে বিএনপির নেতা কর্মীরা সড়কে বিক্ষোভ করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়।
এসময় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিএনপির ছোড়া ইটের আঘাতে এসআই দাদন মিয়া (৪৩), এসআই শহীদুল আলম হাওলাদার (৪৮), এএসআই কামালা উদ্দিন মিয়া (৩৮) এএসআই সোহরাব (৩৪) পুলিশের সদস্য কবির খান ((৪০) আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দাদন মিয়া ও শহীদুল আলম হাওলাদারকে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ বিএনপি অফিসসহ এর আশপাশ এলাকায় সাঁরাশি অভিযান চালিয়ে বিএনপির উপজেলা সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির, পৌর বিএনপি সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামানি হিরু, যুবদলের সদস্য কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদার, মৎস্যজীবি দলের উপজেলা সভাপতি কবির তালুকদারসহ ১৩ জন নেতা কর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুন বলেন, পুলিশ বিনা কারনে আমাদের শান্তিপূর্ন সমাবেশে লাঠি চার্জ করে নেতা কর্মীদের আটক করেছে।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, বিনা উস্কানিতে বিএনপির নেতা কর্মীরা আমাদের পুলিশের উপর হামল করেছে।
হামলায় পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছে। আহদের মধ্যে ২ জনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকারী কাজে বাধাদানসহ পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে।